এশিয়ান বার্তা ডেস্ক:- সাভারে স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর আটকে রেখে ধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও গত ছয় মাসেও ন্যায় বিচার পায়নি কিশোরী শিক্ষার্থীর পরিবার। উল্টো আসামীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য পরিবারটিকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী ১৪বছর বয়সী স্কুলছাত্রী জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে গত বছরের ১০ জুলাই বিকালে প্রাইভেট পরতে শিক্ষকের কাছে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হই। পরে ইমান্দিপুর চৌরাস্তার মাঝামাঝি পৌঁছালে প্রভাবশালী এনায়েত হোসেন নবীর ছেলে সালমান আহমেদ শাওন (২২) ও তার সহযোগীরা মিলে আমাকে ঘিরে ধরে মুখ চেপে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে রাতে সাভার বাসস্ট্যান্ডের চাঁদ আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে নিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে। টানা তিনদিন হোটেল কক্ষে আটকে তাকে ধর্ষন করে সালমান। একপর্যায়ে ওই স্কুল ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে মজিদপুর এলাকার বাড়ির সামনে রাস্তার উপর ফেলে চলে যাওয়ার সময় মামলা মোকদ্দমা করলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দরিদ্র পিতা আলী হোসেন সরকার বলেন, ঘটনার দিন মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরদিন সাভার মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী (নং-৮৮২) করি। কিন্তু পুলিশ ডায়রীর কোন তদন্তই করেনি। মেয়েকে যখন অসুস্থ অবস্থায় পাই এবং আটকে রেখে ধর্ষন করেছে মেয়ের মুখ থেকে শুনে সাভার মডেল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে মিমাংসা করার প্রস্তাব দেয়। পরে কোন উপায় না পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৯(০১)/৩০ ধারায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনাল আদালতে একটি পিটিশন মামলা (নং-২৩৩/২০২৩) দায়ের করি। পরে আদালতের নির্দেশে সাভার মডেল থানা পুলিশ মামলাটি নথিভূক্ত করেন। মামলায় পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লার এনায়েত হোসেন নবীর ছেলে ধর্ষক সালমান আহমেদ শাওন (২২) তার সহযোগী জীবন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী আলী হোসেন সরকার বলেন, ধর্ষক সালমান জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা গরীর বলে গত ছয় মাসেও আমরা কোন ন্যায় বিচার পাইনি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রাজীব সিকদার বলেন, আসামী জামিনে রয়েছে। মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ভিকটিমের মেডিক্যাল রিপোর্ট ও এক্সরে রিপোর্ট দরকার। বাদীকে এক্সরে করার জন্য বলেছি।