এশিয়ান বার্তা ডেস্ক:- গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজার রহমান।তবে আজিজার বিএসসি নামেই এলাকায় বেশি পরিচিত। এই প্রার্থী নিজেই দিন-রাত মাইকে নিজের জন্য ভোট চাইছেন। হাঁটছেন পাড়া-মহল্লায়। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। কখনো হেঁটে, কখনো সাইকেলে চেপে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ী পৌর শহরের উত্তরের চৌরাস্তার মোড়ে দেখা হয় আজিজার রহমানের সঙ্গে। নিজ কাধে হ্যান্ডমাইকে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সহকারী শিক্ষক আজিজার বিএসসি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার হাট বাজারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিজের ‘ঢেঁকি’ প্রতীকে ভোট চেয়ে বেড়ান তিনি। সেই সঙ্গে ভোটারদের হাতে ধরিয়ে দেন লিফলেট। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরদিন থেকেই তিনি গণসংযোগ চালাচ্ছেন। তার দাবি, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে তিনি দুবার ইউপি, একবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন। এছাড়াও এ আসনে সংসদীয় উপনির্বাচনে তিনি অংশ নিয়ে নৌকার কাছে হেরে যান। তবে এবার দ্বাদশ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রায় ১৪ বছর ধরে জনগণের মাঝে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে আসছেন।
রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া তার হলফনামা থেকে জানা গেছে, তিনি স্নাতক (ডিগ্রি) বিএসসি পাস। বর্তমানে তিনি দড়ি জামালপুর রোকেয়া ছামাদ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোদা বসক গ্রামের প্রয়াত রজব উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। ১৯৬৮ সালের ১৭ নভেম্বর এই গ্রামে জন্ম হয় তার।
আজিজার আরও বলেন, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবারও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়েছেন। জানতে চাইলে আজিজার বলেন, দল এবার প্রার্থী হবার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তাই আমি আমার জনপ্রিয়তা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এতদিন যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা নির্বাচনে বেশি টাকা খরচ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। এরপর ক্ষমতায় গেলে বিভিন্ন উপায়ে ওই টাকা তারা ওঠান। তাই তিনি নির্বাচনে সামান্য টাকা খরচ করছেন। যদিও সেটি জনগণের দেওয়া। আশা করি, নির্বাচনী সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে মূল্যায়ন করবেন।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে আজিজার রহমান ছাড়াও সংসদ সদস্য পদে আরও আছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে উম্মে কুলসুম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মইনুল রাব্বি চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে সাবেক সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়া খানসহ আরও ১০ জন বিভিন্ন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজিজার রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান বলেন, সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে বাবা। এই জনপ্রিয়তাই বাবাকে সংসদে পৌঁছে দেবে। আমরা প্রথম দিন থেকেই আচরণবিধি মেনে চলার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।