এশিয়ান বার্তা ডেস্ক:- বৈরি আবহাওয়ার সাগরে সংকেত থাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৩৮ শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষকসহ দেড় শতাধিক পর্যটক তিনদিন ধরে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়েছে। তবে সাগর উত্তালতা কমলেই শনিবার তাদের ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়েছেন প্রশাসন।
সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে গেল ৪ অক্টোবর থেকে টেকনাফ- সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগের দিন সাগর উত্তাল হওয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ত্যাগ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এই ঘোষণা পেয়েই ৩ অক্টোবর বিকেলে বেশির ভাগ পর্যটক সেন্টমার্টিন ত্যাগ করে।তবে প্রশাসনের ঘোষণাকে উপেক্ষা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৩৮ শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষকসহ দেড় শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে থেকে যান। বিগত ৩ দিন ধরে তারা সেখানে রয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ফ্রিতে থাকছেন। তবে বঙ্গোপসাগরে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত থাকার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্য পণ্য আগের মত আনা যাচ্ছে না। টানা তিনদিন মালামাল কম আসলেও শুক্রবার দুপুরে বিশেষ উপায়ে খাদ্য সামগ্রী আনা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়া জবি’র শিক্ষার্থী আব্দুল বারেক বলেন, আমরা জবি’র ৩৮ জন শিক্ষার্থী সেন্টমার্টিন দ্বীপে ব্যাচ ট্যুরে আসি। ট্যুর শেষে দ্বীপ থেকে বুধবার ফেরার কথা থাকলেও হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আমরা দ্বীপে আটকা পড়েছি। এখানে নিত্য পণ্যের মধ্যে মাছ-মাংস, বিভিন্ন তরি-তরকারির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে ভাত, ডাল শুকনা খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন এ শিক্ষার্থী।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, শুক্রবার বিকেলে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত কেটে গেছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ পাঠানো সম্ভব হয়নি। শনিবার পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আটকে পড়াদের ফেরত আনা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সর্তক সংকেত থাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুনরায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ পথে সকল ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে পর্যটকবাহী জাহাজ বার আউলিয়া নিয়ে ৩৮০জন পর্যটক দ্বীপে গেছেন। কক্সবাজার ৩ নম্বর সর্তক সংকেত থাকায় ২৩০ জনের মত পর্যটক ওইদিন ফেরত আসলেও বাকি আরো দেড় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে মৌসুমের শুরু হওয়ার পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত দু’বার জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।এর আগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সাত দিনের জন্য এমভি ‘বার আওলিয়া’ নামে একটি জাহাজকে পরীক্ষামূলকভাবে ওই নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।