
এশিয়ান বার্তা ডেস্ক:- রমজানের প্রথম থেকে অন্য বছরের তুলনায় সব ধরনের সবজির বাজার স্বাভাবিক ছিল।কিন্তু তেল,মাছ, চালের মতো পণ্যের দামে অস্থিরতা ছিল ভোক্তা পর্যায়ে।এর মধ্যে ভোজ্য তেলের বাজার এখনো স্বাভাবিক না হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চালের কেজি প্রতি ৪ টাকার ধাক্কা ও সব ধরনের মাছের কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। বাদ যায়নি বেগুন। এক লাফে পণ্যটি সেঞ্চুরি পার হয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মুরগির দামে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নাজিরশাইল, পাইজাম ও গুটি জাতীয় চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গেল ১০ দিনে সরু চালের দাম বেড়েছে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ৫০ কেজির বস্তা সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২০০ টাকায়, যা ১০ দিন আগের বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৯৫০ থেকে ৪ হাজার টাকায়। ৬২ টাকা কেজি দরে প্রতি ৫০ কেজির বস্তার ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১০০, স্বর্ণা ১ হাজার ৬৫০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ও পাইজাম চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ টাকা করে।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী নোয়াখালী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বলেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় মূলত সরু চালের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি চালে ৪ ও প্রতি বস্তায় ২০০ টাকা বেড়েছে। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন ধান উঠলে সরু চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এদিকে সবজির বাজারের চিত্র হচ্ছে, রমজানে অধিক চাহিদাসম্পন্ন বেগুন, শসা এবং নতুন সবজি ঢেঁড়স ছাড়া অধিকাংশ সবজি ভোক্তার নাগালের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে ২০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে। একইভাবে দাম বেড়ে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা করে। তবে নতুন সবজি হওয়ায় ঢেঁড়সের কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বেগুন, শসা ও ঢেঁড়সের দাম বাড়লেও বাকি সবজিগুলোতে অনেকটা স্বস্তিবোধ করছেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০, আলু ২৫ থেকে ৩৫ ও প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
অন্যদিকে গেল নভেম্বর শুরু হওয়া ভোজ্য তেলের সংকট এখনো কাটেনি। বাজারে ৫ লিটারের তেলের বোতল পাওয়া গেলেও ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি তেলের বোতল এখনো মিলছে না। এ বিষয়ে কাঁঠালবাগান বাজারের মুদি দোকানি বলেন, কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছে না। কিছু কোম্পানি তেল দিলেও ৫ ও ২ লিটারের বোতল ভাগ করে দিচ্ছে।
মাংসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুরগিতে ২০ টাকা কমেছে। গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ এবং প্রতি কেজি কক মুরগি ২৮০ টাকায়।
মুরগির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দামের অস্বস্তি বেড়েছে মাছের বাজারে। সব ধরনের মাছের কেজি ২০ টাকার চাপে পড়েছে ভোক্তা। ১ কেজি সাইজ রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা কদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। রুই ছাড়াও দাম বেড়েছে তেলাপিয়া, পাঙাশ, পাবদাসহ অন্যান্য মাছের। দাম বেড়ে প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০, তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২০০, ছোট সাইজের পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ ও বড় সাইজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
মহাখালী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সরবরাহ কমায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। গড় হিসাবে ২০ টাকা ধরা হলেও কোনো কোনো মাছের কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিশেষ করে দুই কেজি ওজনের পাঙাশের কেজিতে ২০ টাকার ওপর বেড়েছে।
Asian Barta